কাপড় প্রস্তুতের বিভিন্ন ধাপ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - উইভিং-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | | NCTB BOOK
18

উইভিং বিভাগে বিভিন্ন ধাপে সুতার প্যাকেজসমূহে টানা ও পড়েনে প্রস্তুত করা হয় । তাঁত নামক যন্ত্রের সাহায্যে কাপড়ে রূপান্তরিত করা হয়। তাঁত ছাড়াও অন্য উপায়েও কাপড় প্রস্তুত করা যায়। শিক্ষার্থীদের এ সম্বন্ধেও ধারণা থাকা প্রয়োজন। নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে কাপড় প্রস্তুত করা যায়। 

• উইভিং (Weaving) 
• নিটিং (Knitting) 
• ফেলটিং (Felting)

উইভিং (Weaving) 
টানা ও পড়েন ২ সারি সুতা দ্বারা তাঁত নামক যন্ত্র বা মেশিনের সাহায্যে পরস্পর সমকোণে বন্ধনীর মাধ্যমে কাপড় তৈরির প্রক্রিয়াকে উইভিং (Weaving) বলে।

নিটিং (Knitting) 
যে প্রক্রিয়ায় নিটিং মেশিন বা নিডলের সাহায্যে এক বা একাধিক সুতার মাধ্যমে লুপ তৈরি করে এবং উৎপাদিত লুপগুলোকে পরস্পর লম্বালম্বি বা সমান্তরালভাবে সংযোজিত করে কাপড় তৈরির প্রক্রিয়াকে নিটিং (Knitting) বলে।

ফেলটিং (Felting) 
টেক্সটাইল ফাইবার দ্বারা শিট প্রস্তুত করে উক্ত শিটকে জমাট বাঁধিয়ে বা আঠালো পদার্থ দ্বারা সন্নিবেশিত করে এবং স্টিচিং করে পরস্পর আটকিয়ে যে কাপড় তৈরি করা হয় তাকে ফেলটিং (Felting) বলে।

কাপড় ফেলটেড নিম্নলিখিতভাবে হয়ে থাকে- 
১) আঠালো পদার্থের সাহায্যে 
2) তাপের সাহায্যে। 
৩) স্টিচিং -এর সাহায্যে।

ওভেন কাপড়ের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of woven fabric) 
• বস্ত্রের অভ্যন্তরে দুই সিরিজ সুতা থাকতে হবে। এক সিরিজ টানা ও অপর সিরিজ পড়েন।
• প্রতিটি ওভেন কাপড়ে একটি নির্দিষ্ট ডিজাইন থাকতে হবে। 
• সাধারণত ওভেন কাপড়ে ভাঁজ পড়ে। 
• সাধারণত ওভেনের পূর্বে টানা সুতায় মাড় দিতে হয় । 
• দুই সারি সুতা সমকোণে বন্ধনীর মাধ্যমে ওভেন কাপড় তৈরি হয়। 
• কাপড়ের টানা ও পড়েন সুতার কাউন্ট, শক্তি, প্রতি ইঞ্চিতে পাক ইত্যাদি গুণ একই অথবা ভিন্ন হতে পারে।
• ওভেন কাপড়ের সদর এবং পিছনের অংশ একই অথবা ভিন্ন হতে পারে। 
• এই কপাড়ের প্রাপ্ত গুটিয়ে যায় না।
• তাঁতের সাহায্যে বুননের সময় বিভিন্ন প্রকার রঙিন সুতার সাহায্যে স্ট্রাইপ, চেক, ক্রসওভার এবং বিভিন্ন প্রকার ইফেক্ট তৈরি করা যায়। 
• ওভেন কাপড়ের একদিকে বা উভয় দিকে কাট অথবা আনকাট পাইল থাকতে পারে। 
• ওভেন কাপড়ের একদিকে বা উভয় দিকে ল্যামিনেটেড করা থাকতে পারে। 
•ওভেন কাপড় সিঙ্গল, ডাবল বা ট্রিপল ইত্যাদি প্লাই বিশিষ্ট হতে পারে। 
ওভেন ফেব্রিক -এর একদিকে বা উভয় দিকে আঁশ রেইজিং করা থাকতে পারে। যেমন-ফ্লানেল কাপড় ।

কতিপয় প্রয়োজনীয় সংজ্ঞা 

কাপড় (Fabric) 
টানা ও পড়েন ২ সিরিজ সুতা পরস্পর সমকোণে বন্ধনীর মাধ্যমে অথবা নিডেলের সাহায্যে লুপ তৈরি করে অথবা ফাইবারের শিটকে জমাট বাঁধিয়ে বা আঠালো পদার্থ দ্বারা সন্নিবেশিত করে যে পাতলা শিট প্রস্তুত করা হয় তাকে কাপড় বলে। 

তাঁত (Loom) 
টানা ও পড়েন সুতা পরস্পর সমকোণে বন্ধনীর মাধ্যমে কাপড় তৈরি করার জন্য যে মেশিন বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে তাঁত বলে। 

পাওয়ার লুম (Power loom ) 
যে সমস্ত তাঁত কোনো যান্ত্রিক অথবা বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা চালিত হয় তাকে শক্তিচালিত তাঁত বা পাওয়ার লুম বলে। 

হ্যান্ড হুম (Hand loom ) 
মানব শক্তি দ্বারা অর্থাৎ হাত দ্বারা যে তাঁত চালানো হয় তাকে হস্তচালিত তাঁত বা হ্যান্ড লুম বলে । 

কনভেনশনাল লুম (Conventional loom) 
যে সমস্ত কাপড় প্রস্তুতিতে পড়েন প্রবেশের জন্য মাকু (Shuttle) ব্যবহার করা হয় সে সমস্ত তাঁতকে কনভেনশনাল লুম বলা হয় । 

আধুনিক লুম (Modern loom ) 
যে সমস্ত তাঁতে কাপড় প্রস্তুতিতে পড়েন প্রবেশের জন্য মাকু ব্যবহার না করে অন্য কোনো মধ্যম ব্যবহার করা হয় সে সমস্ত তাঁতকে আধুনিক তাঁত বলে। 

অরডিনারি লুম (Ordinary loom ) 
যে সমস্ত কনভেনশনাল লুমের গতি কম, মাকু বা পার্ন পরিবর্তনের কোনো ব্যবস্থা নেই অর্থাৎ খুবই সাধারণ মানের তাঁত সে সমস্ত লুমকে অরডিনারি লুম বলে। 

অটোমেটিক লুম (Automatic loom) 
যে সমস্ত তাঁতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়েন পরিবর্তনের ব্যবস্থা আছে, সে সমস্ত তাঁতকে অটোমেটিক লুম বলে। শাটল পরিবর্তনের মাধ্যমে ও পার্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে পড়েন পরিবর্তন করা সম্ভব।

তাঁতের গতি (Motion of loom ) 
তাঁতকে সচল রাখা ও পর্যায়ক্রমিকভাবে কাপড় তৈরির জন্য আলাদা আলাদাভাবে ও বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অংশ নাড়াচাড়া করানো হয়। এই অংশসমূহকে একত্রে তাঁতের গতি বলা হয়। 

অক্সিলারি মোশন (Auxiliary motion) 
পাওয়ার লুমকে ত্রুটিমুক্ত কাপড় তৈরির উপযোগী করার জন্য কিছু কিছু আলাদা মোশন ব্যবহার করা হয়, যা তাঁতকে স্বয়ংক্রিয় করে এবং তাঁতও কাপড়কে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। উপরোক্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য যে অতিরিক্ত মোশনসমূহ ব্যবহার করা হয়, তাকে টারসিয়ারি মোশন বলে।

টুইস্টিং (Twistimg) 
সুতা তৈরির সময় পাক (twist) দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একমাত্র ছোট ছোট আঁশগুলোকে একত্রে ধরে রাখার জন্য টুইস্ট দেওয়া হয়। যখন অধিক মোটা শক্তিশালী সুতার প্রয়োজন হয় তখন একাধিক সুতাকে একত্রে টুইস্ট করে নেওয়া হয়। 

ওয়াইন্ডিং (Winding) 
কাপড় বয়নের সুবিধার্থে বাজারে প্রাপ্ত হ্যাংক আকারের সুতাকে পড়েন সুতার জন্য নলি বা কপ এবং টানা সুতার জন্য স্কুল, কোনো, চিজ, ববিন ইত্যাদি প্যাকেজে জড়ানো হয়। বিভিন্ন প্যাকেজে সুতা জড়ানোর পদ্ধতিতে ওয়াইন্ডিং বলে। 

ক্রিলিং (Creeling) 
টানা বিম তৈরি করার জন্য ওয়াইন্ডিং প্যাকেজগুলো যে প্রক্রিয়ায় ক্রিলের হোল্ডারের মধ্যে রাখা হয় তাকে ক্রিলিং বলে। 

ওয়ার্সিং (Warping) 
যে কাপড় তৈরি করতে হবে তার বহরে যতগুলো টানা সুতার প্রয়োজন হয় ততগুলো সুতা কাপড়ের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী মেপে লম্বারদি সাজিয়ে নিয়ে বিমে জড়ানোর প্রক্রিয়াই ওয়াপিং। 

বিমিং (Beaming) 
স্পিনিং ফ্রেমে সুতা তৈরি হওয়ার পর টানা সুতাগুলোকে স্থুল বা কোনো ওয়াইল্ডিং মেশিনের সাহায্যে স্কুল বা কোণের আকারে জড়ানো হয়। এ ওয়ার্প সুতার প্যাকেজ হাতে কাপড় তৈরি করার উদ্দেশ্যে বিম তৈরি করা হয়। ওয়ার্পের সুতাকে এভাবে বিমে জড়ানোর প্রক্রিয়াকে বিমিং বলে। 

সাইজিং (Sizing) 
যান্ত্রিক বা কায়িক উপায়ে টানা সুতাকে বিভিন্ন প্রকারের মাড়ের উপকরণ যুক্ত করে সুতার উপর বিদ্যমান বাড়তি আঁশগুলোকে সুতার পৃষ্ঠে মিশিয়ে দিয়ে সুতাকে চকচকে ওজন বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করার প্রক্রিয়াকে সাইজিং বা মাড় প্রকরণ বলে। 

ড্রইং-ইন (Drawing-in) 
ওয়ার্পের সুতাগুলোকে উইভার্স বিমে জড়ানোর পর এটার অপর প্রান্ত ডিজাইন অনুসারে পরপর কতগুলো । ঝাঁপের বা চক্ষুর মধ্য দিয়ে ড্রইং হুকের সাহায্যে টেনে নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াকে ড্রইং-ইন বা ড্রাফটিং বলে। 

ডেন্টিং (Denting) 
যে পদ্ধতিতে রিডের প্রতিটি ডেন্টের মধ্য দিয়ে টানা সুতাকে ডিজাইন অনুযায়ী ড্রইং হুকের সাহায্যে টেনে নেওয়া হয়। এ পদ্ধতিকেই ডেন্টিং বলা হয়। সাধারণত প্রতিটি ডেন্টের মধ্য দিয়ে দুই বা ততোধিক সুতা প্রবেশ করানো হয়। 

লুমিং (Looming) 
উইভিং -এর প্রস্তুতির জন্য সর্বশেষ প্রক্রিয়াই হলো লুমিং। ড্রইং-ইন এবং ডেন্টিং-এর পর ওয়ার্প বিষকে লুমের নির্দিষ্ট স্থানে অর্থাৎ পিছনের ব্রাকেটে বসানো হয়। তারপর ঝাঁপ ও শানা বসানো হয়। অতঃপর শানার সামনের আলগা সুতাগুলো ক্লথ বিমের সাথে বাঁধা হয়। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিমকে আনুষঙ্গিক উপকরণসহ লুমে স্থাপন করা হয় তাকে লুমিং বলে।

উইভিং (Weaving) 
কাপড় বয়নের সময় কতগুলো টানা সুতাকে ঝাঁপের সাহায্যে উপরে ওঠানো হয় এবং কতকগুলো নিচে নামানো হয়। এর ফলে যে কোণাকৃতি ফাঁকের সৃষ্টি হয় তাকে শেড বলে। এ শেডের মধ্য দিয়ে মাকু হতে একটি পড়েন সুতাকে ফেলে রাখার পর শানা অর্থাৎ দক্তি দ্বারা ঠেলে দেওয়া হয়। এরূপ একটির পর একটি সুতা প্রবেশ করিয়ে কাপড় প্রস্তুত করা হয়। উপরোক্ত প্রক্রিয়াকেই উইভিং বলে। 

ফেব্রিক চেকিং ( Inspection of fabric) 
কাপড় তৈরির পর কাপড়ে কমবেশি দোষত্রুটি থাকে। টেবিলের উপর কাপড় রেখে হাত দ্বারা বা মেশিনের সাহায্যে এক প্রাপ্ত হতে টেনে কাপড়ের দোষত্রুটি যাচাই-বাছাই করে মানসম্পন্ন কাপড় পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত করার নামই ফেব্রিক চেকিং। 

ক্যালেন্ডারিং অ্যান্ড ফোল্ডিং (Calendering and folding) 
কাপড়ের চাকচিক্যতার বৃদ্ধি ও কাপড়কে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য কাপড়কে চাপে ও তাপে মসৃণ করা হয় ও পরবর্তীতে মেশিনের মাধ্যমে ভাঁজ করাকে ক্যালেন্ডারিং অ্যান্ড ফোল্ডিং বলে। 

বেইলিং (Bailing) 
ইহা সর্বশেষ প্রক্রিয়া। ফোল্ডিং করার পর কাপড়কে স্তরে স্তরে সাজিয়ে প্রেসের সাহায্যে চাপ দিয়ে আয়তন কমিয়ে বেইল তৈরি করার নাম বেইলিং। কাপড় বাজারজাত ও গুদামজাত করার সুবিধার্থে বেইল তৈরি করা হয়। 

চেক/স্ট্রাইপ কাপড় তৈরিতে উইডিং-
এর অতিরিক্ত ধাপ চেক বা স্ট্রাইপ কাপড় তৈরির জন্য উইভার্স বিমে রঙিন সুতা স্তরে স্তরে সাজাতে হবে এবং পড়েন সুতা ডিজাইন অনুযায়ী রং পরিবর্তন করে কাপড় বুনতে হবে। 

প্রথমত ক্রিলে বিভিন্ন রঙের ফ্লাজ ববিন ডিজাইনের টানা সুতার সংখ্যা অনুযায়ী সাজাতে হবে। তবে রঙিন টানা সুতার সংখ্যা হিসাব করে পূর্বেই ফ্লাঞ্জ ববিন প্রস্তুত করে নিতে হবে। রঙিন সুতা দ্বারা চেক ও স্ট্রাইপ কাপড় তৈরির জন্য নিম্নলিখিত অতিরিক্ত ধাপ অনুসরণ করতে হবে। 

• রঙিন ফ্রাঞ্জ ববিন প্রস্তুতকরণ। 
• ডিজাইনের সংখ্যা অনুযায়ী ক্রিলে রঙিন সুতাপূর্ন ববিন সাজানো । 
• ডিজাইনের সংখ্যা অনুযায়ী ড্রামে টানা সুতার স্তর সৃষ্টি করা। 
• ড্রাম থেকে রঙিন ও সাদা সুতার স্তর বিমে জড়ানো। 

স্ট্রাইপ কাপড় তৈরি করার পদ্ধতি- 
স্ট্রাইপ কাপড়ের জন্য টানা করা- ৪০” নম্বর শানা ব্যবহার করে ৩৬" বহরের ১টি কাপড় যদি বিভিন্ন রঙের সুতা টানিয়ে নিচে বর্নিত নিয়মে ব্যবহার করা হয় তবে টানা করার নিয়ম নিম্নরূপ হবে।

৮ সুভা-সাদা।                               ৮ সুভা-সাদা। 
৮ সুতা-সবুজ।                              ১৬ সুতা-কমলা।
এখানে দেখা যায় সাদা ও রং করা সুতা মিলিতভাবে ৪০টি সুতা পর্যায়ক্রমে কাপড়ে থাকবে। শানার নম্বর ৪০। কাজেই ৪০টি সুতায় ১ ইঞ্চি। উপরে বর্নিত সুতা যে নিয়মে আছে ঐ নিয়মে সুতা রেখে টানা করলে বিম করার সময় কোনো প্রকার অসুবিধার কারণ থাকবে না। আর যদি প্রত্যেক রং -এর সুতা দ্বারা পৃথক পৃথক টানা করা হয় তবে বিম করার পূর্বে টানা করার জন্য শানা গাঁথার সময় ঐ নিয়মে সুতা শানার মধ্যে পরপর গাঁথা হলে তবু কাজ চলবে। আর যদি সম্ভব হয় তবে বুক ক্রিলে নিয়ম অনুসারে সুতার ববিন সাজিয়ে টানা করতে পারলে ভালো হয়। 

কাপড়ে যে নিয়মে বিভিন্ন রঙের সুতা থাকবে বুক ক্রিলে সেই নিয়মে প্রথমে পরপর সাদা সুতার ববিন ৮টি, এরপর সবুজ সুতার ববিন ৮টি, তারপর সাদা সুতার ববিন ৮টি এবং পরে কমলা সুতার ববিন ১৬টি সাজাতে হবে। প্রথমে সুতার ববিন থেকে সুতার মাথাগুলো নিয়ে সেলেটে একটি চোখ ও ১টি ফাঁকে এই নিয়মে ধারাবাহিকভাবে গেঁথে নিতে হবে। সাদার পর সবুজ আবার সাদার পরে কমলা সুতা গাঁথার পর সকল সুতার মাথা একত্রে গিঁট দিয়ে পাথালি ড্রামের তারকাটায় আটকাতে হবে এবং উপরোক্ত নিয়মে টানা করে শানা গাঁথার পর বিম করার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এই নিয়মে টানা করে যদি পড়েনে এক রং -এর বা শুধু সাদা সুতা ব্যবহার করে কাপড় বুনা হয় তবে এটাকে স্ট্রাইপ কাপড় বলা হয়। এ কাপড় বিভিন্ন কাজে যথা লুঙ্গি, শাড়ি, শার্ট, বিছানার চাদর ইত্যাদি নানাবিধ কাজে ব্যবহৃত হয়।

চেক কাপড় তৈরির বিভিন্ন পদ্ধতি- 
টানা ও পড়েন বিভিন্ন রঙিন সুতা নিয়মিত সাজিয়ে একই রঙের সুতায় চৌকোনাকার ঘর সৃষ্টি করে বুনা কাপড়ে এক প্রকার আকর্ষণীয় নকশা ফুটে ওঠে। এই প্রকার কাপড় তৈরির জন্য টানা করার সময় যদি ৮ সুতা সাদা, ৮ সুতা সবুজ, ৮ সুতা সাদা ও ১৬ সুতা কমলা এই রুপ সাজানো হয় এবং এই নিয়মে টানা করার পর কাপড় বুনার সময় যদি টানার নিয়মে পড়েন সাদা ও রঙিন সুতা ব্যবহার করে রুনা হয় তবে এটি চেক কাপড়ে পরিণত হবে। অর্থাৎ পড়েনের দিকেও ৮ সুতা সাদা, ৮ সুতা সবুজ, ৮ সুতা সাদা ও ১৬ সুতা কমলা এই নিয়মে সুতা ব্যবহার করে কাপড় বুনা হলে তবে ঐ কাপড়কে খাঁটি চেক কাপড় বলা হবে। চেক কাপড় স্ট্রাইপ কাপড়ের মত বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। তবে লুঙ্গি ও শাটিং এ সমধিক প্রচলন দেখা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন কাজে চেক কাপড় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

Content added By
Promotion